নাড়া
নাড়া1 [ nāḍ়ā1 ] বি. 1 ঝামটা, ঝাঁকুনি (মুখনাড়া দেওয়া); 2 সঞ্চালন, আন্দোলন (হাত নাড়া, গাছ ধরে নাড়া)। ☐ ক্রি. 1 ঝামটা বা ঝাঁকুনি দেওয়া (মুখ নেড়ে কথা বলা); 2 সঞ্চালিত বা আন্দোলিত করা (হাত নেড়ো না); 3 ঘাঁটা, ঘোঁটা (চামচ দিয়ে নাড়া); 4 বিশৃঙ্খল করা, ঘাঁটাঘাঁটি করা (কাগজপত্র নাড়া); 5 বাজানো (ঘণ্টা নাড়া); 6 সরানো, স্হানচ্যুত করা, অপসারিত করা (এ ঘর থেকে ওটাকে নাড়া চলবে না); 7 চর্চা করা (শাস্ত্র নাড়া)।
[< সং. √ লাড্ (কম্পন, আক্ষেপ) + বাং. আ]।
নাড়াচাড়া বি. ক্রি. 1 ঘাঁটাঘাঁটি (কাগজপত্র নাড়াচাড়া করা); 2সঞ্চালন; 3 সরানো, স্হানচ্যুত করা (রোগীকে নাড়াচাড়া করা ঠিক নয়); 4 বারবার বিচার বা ভাবনাচিন্তা (মনে মনে ব্যাপারটা নাড়াচাড়া করে দেখলাম)।
নাড়ানাড়ি বি. ক্রমাগত স্হান পরিবর্তন করা।
☐ ক্রি. সঞ্চালিত বা আন্দোলিত করা, সরানো-নড়ানো।
☐ বিণ. উক্ত সব অর্থে।
নাড়ানো ক্রি. সঞ্চালিত করা; ঘাঁটাঘাঁটি করা; স্হানচ্যুত করা।
☐ বি. বিণ. উক্ত সব অর্থে।
নাড়া2 [ nāḍ়ā2 ] বি. ধান কাটার পর ধানগাছের যে অপ্রয়োজনীয় অংশ জমির মধ্যে থেকে যায়, ধানের গোড়া; খড়-বিচালি।
[বাং. তু. সং. নাল]।
নাড়াবুনে বিণ. বি. 1 নাড়া অর্থাত্ খড়ের বনের লোক; চাষা; 2 (আল.) মূর্খ, অজ্ঞ, অরসিক।
নাড়ামাঠ বি. যে মাঠে ধান কেটে নেবার পর কেবল নাড়া প়ড়ে আছে (‘পোড়ো-জমি-খড় নাড়া মাঠের ফাটল’: জী. দা)।
যত ছিল নাড়াবুনে হল সব কেত্তুনে — যত সব অরসিক তারাই কর্তৃত্ব বা প্রাধান্য পেয়েছে।